অগ্রিম দুঃখিত এবং
ক্ষমাপ্রার্থী আমার কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক শব্দমালায় যদি কেউ বিন্দু মাত্র আঘাতও পেয়ে
থাকেন। আসলে আমার ভাই শহীদ প্রফেসর হারুন
কিছু বর্বর সিলেটীদের হাতে একবার না,দু, দু'বার করে খুন হওয়ার পর আসলে আমার অসহায় পরিবার সিলেট বা সিলেটী নামটা শুনলেই তাদের
ইচ্ছে হয় আজই এবং এখনই ...............। তখন সিলেটী অনেক
অনেক ভালো মরমী গানও আমাদের কাছে একদম ভোতা হয়ে যায়। তবে আপনার কথায় (নাকি কবিতায়, জানি না
) অন্যভাবে আমার হারানো
সেই কাজল -কালো লতা,লতা,লতার কথা একটু বেশিই মনে পড়ে গেল। যাক,আমার নিজের জীবনের কিছু ভুলের কথা,কিছু পাপের কথা আপনাকে
জানাবোই,ইনশাল্লাহ,যদি আপনার সাথে কোনদিন দেখা হয়,তবে সাংঘাতিক (আমি ইদানিং নিজেকে আর সাংবাদিক দাবি করি না) হিসাবে না। আপনি ভালো পুলিশ প্রধান,
আর আমি খারাপ পাপী
হিসাবে। তখন হয়তো বঝবেন কিভাবে একটি ভালো জীবন,কেন একটি ভালো স্বপ্ন নষ্টও হয়ে যায় তিলে, তিলে। আমি প্রতিদিন প্রতিক্ষণ দোয়া করি,আপনি আগামী দিনের খুব ভালো পুলিশের নায়ক হোন। আপনি আমার চেয়েও অনেক অনেক ভালো করে
জানেন যে,খারাপ পুলিশের প্রধান হওয়া যায়,
কিছুটা সহজেই। কিন্তু ভালো
পুলিশের নায়ক অনেক কঠিন বটেই। আমিও জানি ভালো সাংবাদিকের নায়ক কেউ কাউকে বানাতে
পারে না। এগুলো নিজে নিজে কঠিন সংগ্রাম করেই
হতে হয়। তখন আমার মত আর কাউকেই ভাই হত্যার
বিচার পেতে এত এত খারাপ ক্ষমতার রাজনীতি করা লাগবে না। আমি পাপী সেদিন নিজেই নিজের হাতে কড়া
বেধে আদালতে না,
কোন ভালো পুলিশ
প্রধানের কাছেই যাব। ভাবুন তো,সেই নতুন শান্তির দিনে কথা, আমি আপনার
কাছে গিয়েই আত্মসমর্পণ করছি। আমি আমারই
ক্রস-ফায়ার চাইছি। সেই দিন আমি নিজে
নিজেরই ক্রস-ফায়ার নিজেই দাবি করবো, আসলেই। কারন আমিও তো
কিছু পাপ করেছি,
তাই না? হোক না সেটা আমার হারানো লতাকে ভুলতে। কেউ জানুক বা নাই
জানুক, মিজানের বিবেক তো জানেই আমি মিজানও অনেক
পাপী । নিজেকে মহৎ হিসাবে জাহির করার জন্য না, একদমই না,আমি আন্তরিকভাবেই একদিন আসবো, আপনার
কাছে,আপনার পবিত্র পায়ে একবার হাত দিতে। কারন আপনি একদিন আমাকে দূর থেকেই আমার একটা ভালো,সুন্দর এবং পবিত্র সংগ্রামে অনেক অনেক অবদান রেখেছেন।আর দেশে কি আলামত দেখছি? তাতে তো ভয় হচ্ছে! ভালো থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন, সতর্কভাবে থাকবেন। আর পারলে এই
পাপীটার জন্য একটু আশীর্বাদ করবেন। আমি মনে হয়
সাংবাদিকতা ছেড়ে কিছুদিনের জন্য আমার পড়ালেখার টেবিলে ফিরে যাচ্ছি। কারন চাঁদাবাজি করতে মিজানের
সাংবাদিকের কার্ড লাগে না। মিজান
সাংবাদিকতার আসলে ভালো পেশাকে জনগনের কাছে সবচেয়ে খারাপ পেশা
বানাতে চায় না,আসলেই না, কোনভাবেই না।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment