Saturday, July 28, 2012

এক সময়ের প্রিয় বিবিসি বাংলা না বুঝলে,আসুন,আমরা বাংলা মায়ের দামাল ছেলে-মেয়েরা বিবিসিকে আবার বুঝিয়ে দেয় এটা সাদা চামড়ার ব্রিটিশ সাম্রাজ্য না। এটা হৃদয়ে লেখা লাল-সবুজের বাংলাদেশ,প্রিয় জন্মভূমি............।

‎{বাংলাদেশের সদ্য প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন সোশ্যাল মিডিয়ায় নাকি তীব্রভাবে সমালোচিত হচ্ছেন লাশ দাফন বিতর্কে তাঁর কথিত ভূমিকার জন্য,(সূত্রঃ বিবিসি বাংলা,সর্বশেষ আপডেট বুধবার, 25 জুলাই,2012 16:00 GMT 22:00 বাংলাদেশ সময়)}আর তাতেই সাম্রাজ্যবাদীদের টাকাই চলা বিবিসি বাংলা চরম একতরফা এক প্রতিবেদন প্রচার করে পবিত্র পা ধরে ছালাম করার মতো আমাদের অনেক ভালো মা-বোনদের মধ্যেও (সদ্য প্রয়াত মেধাবী লেখক হুমায়ূন আহমেদের মেয়ে শিলার বান্ধবী থেকে হঠাৎ করেই তাঁরই বাবার দুই নাম্বার(!!!!) স্ত্রী বনে যাওয়া মেহের আফরোজ শাওনদের মতো না) ফালতো পুরুষ বিদ্বেষ উসকে দিচ্ছে বলে মনে হয়। তাই সাদা চামড়ার বিবিসি বাংলাকে বলছি- দেখেন মিস্টার,এটা কিন্তু মীরজাফরদের সেই ১৭৫৭ সাল না। পলাশীর সাময়িক পরাজয়ের পরে আমাদের স্বাধীনতার দেওয়ার নামে আপনারা চুতুর ব্রিটিশররা ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছেন আমাদের বাপ-দাদার সেই এক বিশাল বড় মহাদেশ ভারতকে। কি করলেন আপনার? মুসলমানদের পাকিস্তান,হিন্দুদের ভারত,তাই না, মিস্টার? তারপররেও এই বাংলা মায়ের বীর ছেলে-মেয়েদের রক্তে লেখা হয়েছে অগ্নিজরা আমাদের সেই পবিত্র ১৯৫২,১৯৬২,১৯৬৯ এবং মহান ১৯৭১।তাঁরা ছিনিয়ে এনেছেন বিজয়ের ১৯৯০। বাংলার মানুষ এখন অনেক সচেতন। কমপক্ষে বাংলার মানুষ এখন বিবিসির চেয়ে অনেক চালাক হয়েছেন। আর এটা আমার এক সময়ের প্রিয় বিবিসি বাংলা না বুঝলে,আসুন,আমরা বাংলা মায়ের দামাল ছেলে-মেয়েরা বিবিসিকে আবার বুঝিয়ে দেয় এটা সাদা চামড়ার ব্রিটিশ সাম্রাজ্য না। এটা হৃদয়ে লেখা লাল-সবুজের বাংলাদেশ,প্রিয় জন্মভূমি............। সব দালালেরা নিপাত যাক। মেহনতি মানুষের পক্ষে সব কমরেডের হাবিবুল্লা মিজানের লাল সালাম। শহীদ অধ্যাপক হারুন,শহীদ সাংবাদিক সাগর এবং শহীদ সাংবাদিক রুনিসহ সকল হত্যা,জুলুমের বিচারের জন্য আমি লড়ে যাব,শেষ পর্যন্ত,ইনশাল্লাহ। ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে শহীদ মোহনলাল আমাকে এটাই শিখিয়েছেন।

Thursday, July 19, 2012

শহীদ প্রফেসর হারুনের খুনিরা এবং তাঁদের আশ্রয়দাতারা প্রধান মন্ত্রীর চেয়েও বেশি শক্তিশালী!

হ্যালো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!!! হ্যালো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!!!হ্যালো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!!!


শহীদ অধ্যাপক হারুনের পরিবারের,বিশেষ করে তাঁর বিধবা স্ত্রী এবং তাঁর দুই এতিম সন্তানদের কান্না কি কোনদিনই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কানে পৌঁছবে না? তাহলে কি শহীদ প্রফেসর হারুনের খুনিরা এবং তাঁদের আশ্রয়দাতারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশি শক্তিশালী? আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উত্তরের অপেক্ষায় আছি। কারন আমরা গতকাল বিকেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুঠো ফোনে বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছি। ইনশাল্লাহ,শেষ পর্যন্ত আমরা লড়াই করে যাবো। সবার আশীর্বাদ ভিক্ষা চাইছি। পরিবারের পক্ষে- হাবিবুল্লাহ মিজান। (শহীদ প্রফেসর হারুনের ভাই, এবং গণমাধ্যম কর্মী,ঢাকা,বাংলাদেশ।

Tuesday, July 17, 2012

গণভবন না কড়া ভবন!!!


গণভবন না কড়া ভবন!!!

নামটা শুনলে মনে হয় যেন এমন একটি ভবন যেখানে যখন তখন যে কোন মানুষ,মানে গন-মানুষ যেতে পারেন। কিন্তু না। যেখানে যেতে হলে আপনাকে কিছু বিরক্তিকর ঝামেলা পোহাতেই হবে যদি না আপনি হন ভিভিআইপিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিশেষ বাহিনীর সদস্য। আমরা যারা সাংবাদিকতা করি তাঁদের বাধ্য হয়েই সেখানে যেতে হয়,বিশেষ করে পরাধীন এবং গোলামীর চাকরিটা বাঁচাতে। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সেখানে গেলাম। দেখলাম আমার সহকর্মী সিনিয়র সাংবাদিক শামিম ভাই বসে আছেন। আমি তাঁর সাথে সাংবাদিকতার বাইরের কিছু  বিষয় নিয়ে যেমন আমার রোগ-শোঁক নিয়ে কিছু পরামর্শ নিচ্ছিলাম। এরপর দেখলাম আসলেন কানাই দা। সেখানে দেখা হয়ে গেল ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ে আমার প্রিয় দুই ছোট ভাই বাদশা এবং নাজমুলের সাথে। বাদশার মাথায় আদর করে হাত বুলিয়ে দিলাম। অনেকে আমার কাছে বলেছে যে বেচারার নাকি মন-মানসিকতা অনেক ছাত্রলীগ নেতার চেয়ে  অনেক অনেক গুণ ভাল। কিন্তু বয়সের ফাঁদে পড়ে তাঁর প্রাপ্য পদটাও পেল না। নাজমুলকে জিজ্ঞাস করলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকে ছাত্রলীগ নেতা খুনের পর কি অ্যাকশন নিচ্ছে। শিবির নিয়েও কিছু কথা হল। এরমধ্যে অনেক সাংবাদিক সহকর্মীরা এসে পড়লো। সময় এগিয়ে আসছে বলে আমরা নিরাপত্তা পাস নিয়ে ঢুকতে গেলাম। পরপর দুইটি আর্চওয়ে পার করে,মানে নিরাপতা চেকিং করার শেষ পর্যায়ে আমার হাতে থাকা মিনি অডিও রেকর্ডার নিয়ে বার বার পরীক্ষা করছিলো পুলিশের বিশেষ শাখার এক সদস্য। আমি খুব বিরক্ত হচ্ছিলাম। ভাবছিলাম এ কেমন গোয়েন্দা সদস্য যে সাংবাদিকদের মিনি রেকর্ডার চিনতে পারে না। আমার খুব হাসিও পাচ্ছিলো। কারন আমার এই মিনি অডিও রেকর্ডার নিয়ে তাঁকে খুব চিন্তিত দেখাচ্ছিল। হয়তো তাঁর আবার ভয়ও হচ্ছিলো যে বেটা সাংবাদিক,কি না কি লেখে দেয় যদি সাংবাদিকদের সাথে বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলে। আমি তাঁর সাথে হেসে হেসে কথা বলতে থাকায় সে পরে আমাকে বলে ফেললো - প্লীজ,আমাকে এটা একটো  অন-অফ করে দেখাবেন? আমি দেখালাম। পরে আমার সে একই নিরাপত্তা চেকিং। দামি আর্চওয়ের সাথে বাড়তি যোগ হচ্ছে কালো পোশাকদারী র‍্যাব এবং তাঁদের অতিদামি বিদেশী ড্রগ স্কোয়াড। সেখান থেকে পায়ে হেটে হেটে গণভবনের মুল গেটে এসে আবার সে নিরাপত্তা চেকিং। 


যাক,এভাবেই চলে আসলাম সেই রুমে। আমি কিছু পাপীদেরও দেখলাম। দেখলাম কিছু হাইব্রিড নেতাদের। অনেকে এমনকি আমার অনেক সাংবাদিক সহকর্মীরাও  কেন যেন  এই সব নেতা-পাতি নেতারা পাশ দিয়ে গেলেই উঠে দাড়িয়ে সম্মান জানালেন। আমার আবার এই সব অভ্যাস কম। তাই যখন একমাত্র আপা আসলেন তখনই আমি অন্যান্যদের সাথে দাড়িয়ে সম্মান জানালাম। কিছু কষ্টও পেলাম কিছু কারনে। চা চেয়ে না পেয়ে আরেকটো বাড়তি অভিমান নিয়ে চলে আসলাম। অফিসে আসার আগে গাজী তরুণ ভাইয়ের অফিসে আমার এক ছোট ভাই সূফী সম্রাট খ্যাত কণ্ঠ শিল্পী পারভেজের সাথে একটা আলাপে অংশ নিয়ে আলাপের ফাকে ফাকে কম্পিউটারে বসে খবর লিখে পাঠালাম অফিসে। কোন নোট না দেখে এবং ভয়েস রেকর্ডা না শুনেই। মোটামুটি যা মনে ছিল তাই লিখলাম।

জানিনা কালকে চাকরীটা থাকবে কি না। দেখা যাক।কথায় আছে না, বাঁচায় আল্লাহ্‌, মারে কে, তাই না।      

Monday, July 16, 2012

এক দফা,এক দাবি,বুয়েটের মিথ্যাবাদী ভিসি-প্রো-ভিসি তোরা কবে যাবি???

এক দফা,এক দাবি,বুয়েটের মিথ্যাবাদী ভিসি-প্রো-ভিসি তোরা কবে যাবি???
এক দফা,এক দাবি,বুয়েটের মিথ্যাবাদী ভিসি,প্রো-ভিসি তোরা কবে যাবি???
এক দফা,এক দাবি বুয়েটের মিথ্যাবাদী ভিসি,প্রো-ভিসি তোরা কবে যাবি???

কারন তোরা তো শিক্ষক না,শিক্ষক নামদারী ভণ্ড শিক্ষিত শয়তান। তোরা শুধু নিজেদের স্বার্থেই হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছিস। তোরাই তো নব্য খন্দকার মোশতাক। কারন তোরা নিজেদের পিঠের চামড়া বাঁচাতে এবং ক্ষমতার মজা লুটতে সত্যিকারের অনেক বঙ্গবন্ধু প্রেমিকদের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যাচ্ছিস। আরে শয়তান বেটারা, শুন,শুন,আন্দোলনকারী শিক্ষক- শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীদের তোরা যতবারই জঙ্গি বলবি,আমরা দেশের সাধারণ জনগন তাদেরকে আমাদের প্রানপ্রিয় কমরেড বলবো। তোরা আন্দোলনকারীদের যতবারই মিথ্যা অপবাদ দিবি,আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষক- শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীদেরকে আমরা ততবারই প্রিয় বীর বাঙালী বলবো,এবার বুঝলিতো??? তাহলে এখন থেকে শুরু করা যাক,কি বলেন বন্ধুরা?

আসুন,সবাই বলি- বাঁচাও বুয়েট,বাঁচাও দেশ,বাঁচাও সারা বাংলাদেশ।