Tuesday, August 28, 2012

হে মহান আল্লাহ্‌,আমাকে শক্তি দাও,সাহস দাও যেন আমি ..............................

...................................................................................................উথাল-পাথাল ভালোবাসায় পৃথিবীর সব অন্যায়-অনিয়ম দূর করে কুসুম কুসুম ভালোবাসায় ভরে দিতে চেয়েছিলাম সারা পৃথিবীকে।

কিন্তু আমার ভাই সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদের নির্মম হত্যাকাণ্ড এবং কিছু অমানুষের সাথে প্রতিদিন লড়াই করতে করে আমি কিছুটা ক্লান্ত। মাঝে মাঝে কিছুটা অসহায়ও হয়ে যেতে হয়
 আমাকে।

পৃথিবীর সব অভিশাপ দিচ্ছি যারা আমাদের পরিবারকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি কিন্তু এখন আর কাঁদতে পারি না। আমার চোখে খালি লাল লাল রক্ত বের হয়, বিশেষ করে যখন দেখি আমার বিধবা ভাবীর চোঁখে জল,এতিম ভাতিজি এবং এতিম ভাতিজা নিষ্পাপ মুখগুলো। কি যে এই কষ্ট! কাউকে বুঝানো যায় না।

হে মহান আল্লাহ্‌,আমাকে শক্তি দাও,সাহস দাও যেন আমি ..............................

Tuesday, August 21, 2012

আমাকে আসলে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই,আমি কিন্তু এক সর্বহারা পাগল।


যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে,তবে একলা চলো রে,তবে একলা চলো রে............। আর তাই সেই অতি ক্ষমতাবান হুলুদ সাংবাদিক(আসলে তিনি সাংবাদিক না,তিনি একজন সাংঘাতিক) শামিম খান ওরফে লাল মিয়া,
পিতাঃ জহির চোরা,গ্রামঃ কামারপাড়া(ঘড়িদারপাড়া),উপজেলাঃ ধামরাই,জেলাঃ ঢাকা- এর অব্যাহত নির্যাতন থেকে অসহায় এক হিন্দু জেলে পরিবারকে রক্ষা করতে যা কিছু করার দরকার হয়,আমি তাই করবো,ইনশাল্লাহ। ঠিক একইভাবে লড়াই করবো আমার ভাই সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদের খুনীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে। আমাকে আসলে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই,আমি কিন্তু এক সর্বহারা পাগল। আমার আসলে হারানোর কিছুই নেই। লতা নামের শ্যামলা রঙের এক মেয়েকে পাগলের মতো ভালোবাসতাম,সেই যেহেতু চলে গেছে দূরে,বহুদূরে..................।
 

Sunday, August 19, 2012

নিপীড়নের প্রতিবাদে ঈদের আনন্দ বর্জনের উপায় কি হতে পারে


নিপীড়নের প্রতিবাদে ঈদের আনন্দ বর্জনের উপায় কি হতে পারে

প্রাপক
(১)শামিম খান ওরফে লাল মিয়া সাংবাদিক (আসলে সাংবাদিক না,তিনি একজন সাংঘাতিক)
পিতাঃ মোঃ জহির খান
গ্রামঃ কামারপাড়া(ঘড়িদারপাড়া)
উপজেলাঃধামরাই
জেলাঃ ঢাকা

হাবিবুল্লাহ মিজান 
গণমাধ্যম কর্মী,ঢাকা
 পক্ষে
(১)নিমাই চন্দ্র রাজবংশী
(২)শচিন চন্দ্র রাজবংশী
(৩)সানা রানী রাজবংশী
(৪)রংমালা রানী রাজবংশী
(৫)ফুলমালা রানী রাজবংশী
(৬)শিল্পী রানী রাজবংশী
(৭)লিপি রানী রাজবংশী
(৮)স্বপন চন্দ্র রাজবংশী

সর্ব সাং- কাওয়ালীপাড়া,
উপজেলাঃ ধামরাই
জেলাঃ ঢাকা

আপনি কি আসলেই মুসলমান?

যদি নিজেকে মুসলমান বলেই দাবি করেন
তাহলে
আপনি নিশ্চয় একটি অসহায় হিন্দু জেলে পরিবারকে দিনের পর
দিন এভাবে পালিয়ে থাকতে বাধ্য করতে পারেন না।

আপনি যদি নিজেকে সাংবাদিক বলেই দাবি করেন
তাহলে
আপনি নিজের স্বার্থে আদালতকে ভুল বুঝিয়ে এবং পুলিশকে দিয়ে এই জেলে পরিবারের পিতা-মাতা,ভাই-বোনকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করাতে পারতেন না।
টেনে-হেঁচড়ে থানার হাজতে এবং কোর্টের গারদখানায় এভাবে ঢুকাতেও পারতেন না গর্ভে নয় মাসের সন্তান থাকা আমার হিন্দু বোনকে।

আমাদের পিঠ আজ দেয়ালে ঠেকে গেছে।
আর তাই

আসুন,আগামী কালের মুসলমানদের পবিত্র ঈদের আনন্দ আমরা সব ধর্মের বন্ধুরা মিলেমিশে উপভোগ করি।
কিন্তু সাংবাদিক নামদারী এই লাল মিয়ার সন্ত্রাসী লাল বাহিনীর নিপীড়ন থেকে কমপক্ষে এই হিন্দু জেলে পরিবারকে রক্ষা করি- এটাই হোক একজন সত্যিকারের  মুসলমান সাংবাদিকের ঈদ উপহার। এর চেয়ে ভালো কোন উপহার আছে বলে আমার  জানা নেই।

নিপীড়নের প্রতিবাদে ঈদের আনন্দ বর্জনের উপায় কি হতে পারে,সেটা নিয়েই ভাবছি । তবে আমরা কাউকে বাক্তিগতভাবে বিব্রত করতে চাই না। আমাকে যারা কিছুটা চেনেন,তাঁরা ভালো করেই জানেন যে,আমি কোন কিছু শেষ দেখা না পর্যন্ত কাপুরুষের মতো পালিয়ে যাই না। এটা আমার স্বভাবেই নেই। বাকিটা আল্লাহ্‌ ভরসা।

তবে
আমি এটাও জানি আমাদের জন্য সারা পৃথিবীর সব মানুষের ঈদ বা পূজার আনন্দ তো আর থেমে থাকবে না!

আর তাই
আমার সব প্রিয় বন্ধুদের জন্য আমার এক খুব কাছের ছোট ভাই,কবি,গীতিকার এবং সুরকার শিশিরের কাছ থেকে উপহার হিসাবে পাওয়া আমার স্বপ্নের সেই নদীগুলোকে বাঁচাতে লেখা নদীটির নাম গাজীখালী শীর্ষক গানের প্রথম ডেমো ভার্সন সবার উদ্দেশ্য উৎসর্গ করছি।
আশীর্বাদ চাইছি যেন আস্তে আস্তে একদিন নিজের জীবনটা বিলিয়ে দিতে পারি।

পরিশেষে সবার কাছ থেকে অনেক অনেক আশীর্বাদ ভিক্ষা করছি মেধাবি শিল্পী শিশিরের জন্য এবং শিশিরের খুব কাছের বড় ভাই,আরেক মেধাবী সংগীত পরিচালক রোকন ইমনের জন্যও।
লাল সালাম। আমি লড়ছি,লড়াই করে যাবো,ইনশাল্লাহ। ফেসবুকে আমার বন্ধু হতে চাইলে,এখানে ক্লিক করতে পারেন  


Saturday, August 11, 2012

আজ শহীদ সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ভাই এবং শহীদ সাংবাদিক মেহেরুন রুনি আপার নির্মম হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস এবং শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ হত্যার দুই বছর ছয় মাস। কিন্তু যে দেশে খুনিরা প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও শক্তিশালী হয়ে উঠে,সেই দেশে ............


আজ শহীদ সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ভাই এবং শহীদ সাংবাদিক মেহেরুন রুনি আপার নির্মম হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পেরিয়ে গেল। কাঁদতে কাঁদতে প্রায় আড়াই বছর চলে গেল সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ হত্যার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সব উচ্চমহলই খুনিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার কথা বলেছিলেন।

আমি আজ কথা বলেছিলাম শহীদ সাংবাদিক রুনি আপার ছোট ভাই রুমান এবং শহীদ সাংবাদিক সাগর সারও
য়ার ভাইয়ের ছোটবেলার এক বন্ধুর সাথে। রুমান আমাকে জিজ্ঞাস করলেন,খুনিদের খুঁজে বের করতে আসলেই কি কোন তদন্ত হচ্ছে। তাঁর এ প্রশ্নের উত্তর কি দিব,আমি বুঝতেই পারছি না।

প্রিয় মেঘের কথা জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম এই অবুঝ এতিম ছেলেটাও নাকি মাঝে মাঝেই তাঁর মামা রুমানকে জিজ্ঞাস করে,এটিনের মালিক মাহফুয তাঁর আব্বু-আম্মুকে নিয়ে কি খারাপ কথা বলেছিল। আমি রুমান ভাইকে সান্ত্বনা দিতে পারলাম না। আমি শুধু এই কথাটা বললাম যে,আমার এক ভাই সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদকেও খুন করা হয়েছিল সিলেটে ২০১০ সালের ২১ শে মার্চ। ভাই হত্যার বিচারতো পেতে ভিখারির মতো কত মানুষের কাছে (আসলে এরা কেউ মানুষ না,এরা অমানুষ। মানুষ হলে তো কেউ খুনিদের কাছ থেকে ঘুষ নিতে পারতো না,নিহত অধ্যাপক হারুনের নিষ্পাপ চরিত্রের উপর মিথ্যা অপবাদ দিতে পারতো না,খুনিদের বাঁচাতে অপচেষ্টা করতে পারতো না) ঘুরছি। বিনিময়ে কি পেয়েছি? শুধুই অপমান,হতাশা এবং বুকফাটা কান্না!

যে দেশে খুনিরা প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও শক্তিশালী হয়ে উঠে,সেই দেশে আর যাই হোক,শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ,শহীদ সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ভাই এবং শহীদ সাংবাদিক মেহেরুন রুনি হত্যার বিচার পেতে আর কতদিন কত মাস কত বছর লাগবে,একমাত্র মহান আল্লাহ্‌ই ভালো জানেন। 
তবে একটা কথা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি,অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ,শহীদ সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ভাই এবং শহীদ সাংবাদিক মেহেরুন রুনির খুনিদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাঁদের বিচার এই দুনিয়াতে না হলেও,মহান আল্লাহ্‌র দরবারে বিচার হবেই হবেই,ইনশাল্লাহ। কেউ কেউ পারবে না সে বিচার ঠেকাতে।

শহীদ সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ভাই এবং শহীদ সাংবাদিক মেহেরুন রুনি আপা এবং শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ ভাই,তোমরা ঘুমাও শান্তিতে,আমরা জেগে আছি তোমাদের হত্যার চরমতম বদলা নিতে। 





Saturday, August 4, 2012

আমি কেন দুর্নীতিবাজ হতে চাই !!!


আমি দুর্নীতিবাজ হতে চাই কেন - সেটা নিয়ে লেখা লিখছি। দয়া করে অপেক্ষা করেন, সবই জানতে পারবেন।

তবে এই লেখা যদি আমার শেষ লেখাও হয়, তাহলে বলছি- আমি না একসময় অনেক ভালো মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু কিছু কাপুরুষ দুর্নীতিবাজ, কিছু অন্ধকার জগতের লোক আমাকে আঘাত করছে। মিথ্যা মামলাও দিচ্ছে। আমার অপরাধ আমি আমার প্রতিবাদের ভাষাকে কারো কাছে ইজারা দিতে পারি নাই।

তাই এখন থেকে হিসাব আলাদা। দেখা যাক। আবার আগের ভালো লাইনে ফিরে আসবো কিছু খারাপ লোকদের শিক্ষা দিয়ে, ইনশাল্লাহ।

সব প্রিয় কমরেডদের হাবিবুল্লাহ মিজানের লাল সালাম প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ। পাশে থাকবেন।

Friday, August 3, 2012

পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই,ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র, এমনকি আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএকেও ভয় পাইনা। আর তাই কিছু কাপুরুষদের ভয় পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না


আমাকে দেখে কেউ,কেউ,কেউই আসলে বুঝতেই পারে না,মানুষের জন্য আমি আসলে কতটা বেশি ঝুঁকি নিতে পারি এবং সেটা হাঁসতে হাঁসতেই এবং নির্ভয়েই। সব কাপুরুষ লোকেরা মিলে আমাকে হত্যা করতে চেষ্টা করছে। হ্যাঁ,আমি বুঝতে পারি,আমি তাঁদের জন্য এক ভয়াবহ বাঁধা। সেই বাঁধাটাকে এই কাপুরুষগুলো হত্যা করতে চাইছে। যেমন হত্যা করেছে আমার ভাই সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদকে ইংরেজি ২০১০ সালের ২১ শে মার্চ। তাঁর অপরাধ ছিল বখাটেপনায় বাঁধা দেয়া ! অথচ তাঁকে এবং তাঁর অসহায় পরিবারকে এখনো বারবার হত্যা করা হচ্ছে তাঁর নিষ্পাপ চরিত্রের উপর মিথ্যা কলঙ্ক দিয়ে। সিলেটে চলছে বিচারের নামে এক ভয়াবহ প্রহসন। কিন্তু আমি গভিরভাবে বিশ্বাস করি,আমাকে এক কুপে কিংবা মাত্র কয়েকটা গুলিতেই খুন করা যাবে না,যাবে না। তাছাড়া আমি আমার প্যান্টের পকেটে একটা অতিরিক্ত প্রাণ নিয়েই চলাফেরা করি। কাপুরুষেরা যদি আমাকে একবার খুন করে ফেলতেই পারে,আমি তৎক্ষণাৎ আমার প্যান্টের পকেটে রাখা কিংবা কখনো আমার ডান কোমরে রাখা অতিরিক্ত প্রাণটা আমার রক্তাক্ত দেহে লাগিয়ে এই কাপুরুষদের সাথে লড়াই করে যাবো। কিন্তু সেই অতিরিক্ত প্রাণটাও যদি মরে যায়,তখন কি করবো,তাই না? আমি কি কাপুরুষদের কাছেই শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণই করবো? আগামী দিনেই সেটা দেখা যাবে,বোঝা যাবে। কিন্তু এই মুহূর্তে শুধু এই কথাটা বলতে পারি,আমি কিন্তু পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই,ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র, এমনকি আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএকেও ভয় পাইনা। আর তাই কিছু কাপুরুষদের ভয় পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। কথাটা একদম ঠাণ্ডা মাথায়,সজ্ঞানে আমার সব ছোট-বড়- মাঝারি,খুচরা- পাইকারি,দেশি-বিদেশি,প্রকাশ্য-গোপনীয় সব শত্রুদের উদ্দেশেই লিখছি- হাবিবুল্লাহ মিজান নামের এই অতি বোকা,খুবই লিকলিকে শরীরের ছেলেটা একমাত্র তাঁর আল্লাহ্‌কেই ভয় পায়। আর কাউকেই না,কাউকেই না।

আসুন পবিত্র রোজার মাসে,বাঙালীর শোঁকের মাসে আমরা সব ধর্মের মানুষের উপর হত্যা, ধর্ষণ,নিপীড়ন নির্যাতন রুখে দাঁড়ানোর শপথ নেয়,নতুন করে এবং আজ থেকেই,এখন থেকেই। যে যেভাবে পারি। আমার প্রিয় কমরেডদেরকে লাল সালাম। নিরাপদে থাকুন,ভালো থাকুন। বিজয় আমাদেরই,ইনশাল্লাহ।