Saturday, September 8, 2012

দুঃখিত,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

দুঃখিত,বুয়েটের চলমান আন্দোলন নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আজকের এই বক্তব্যের সাথে আমরা একদমই একমত হতে পারছি না। বুয়েটের উপাচার্যের বিরুদ্ধে কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীদের নিজেদের রক্ত নিয়ে সিঁড়িতে ফেলে রাখার ঘটনাকে তিনি বলেছেন ‘বিকৃত মানসিকতা’। আমাদের আপা,কিছু মনে করবেন না,আমাদের অনেকের কাছেই সেটা কিন্তু চরম সাহসিকতা। তিনি আরো বলেছেন যে,কঠোর কিভাবে হতে হয় তা তাঁর সরকারের জানা আছে। তাহলে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা যদি এখন বলে ফেলেন যে, কিভাবে বর্তমান ভিসি সাহেবকে পদত্যাগে বাধ্য করাতে হয় সেটা কিন্তু তাঁদেরও জানা আছে,তাহলে আপা আপনি কি বলবেন?
লেখক

Tuesday, August 28, 2012

হে মহান আল্লাহ্‌,আমাকে শক্তি দাও,সাহস দাও যেন আমি ..............................

...................................................................................................উথাল-পাথাল ভালোবাসায় পৃথিবীর সব অন্যায়-অনিয়ম দূর করে কুসুম কুসুম ভালোবাসায় ভরে দিতে চেয়েছিলাম সারা পৃথিবীকে।

কিন্তু আমার ভাই সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদের নির্মম হত্যাকাণ্ড এবং কিছু অমানুষের সাথে প্রতিদিন লড়াই করতে করে আমি কিছুটা ক্লান্ত। মাঝে মাঝে কিছুটা অসহায়ও হয়ে যেতে হয়
 আমাকে।

পৃথিবীর সব অভিশাপ দিচ্ছি যারা আমাদের পরিবারকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি কিন্তু এখন আর কাঁদতে পারি না। আমার চোখে খালি লাল লাল রক্ত বের হয়, বিশেষ করে যখন দেখি আমার বিধবা ভাবীর চোঁখে জল,এতিম ভাতিজি এবং এতিম ভাতিজা নিষ্পাপ মুখগুলো। কি যে এই কষ্ট! কাউকে বুঝানো যায় না।

হে মহান আল্লাহ্‌,আমাকে শক্তি দাও,সাহস দাও যেন আমি ..............................

Tuesday, August 21, 2012

আমাকে আসলে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই,আমি কিন্তু এক সর্বহারা পাগল।


যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে,তবে একলা চলো রে,তবে একলা চলো রে............। আর তাই সেই অতি ক্ষমতাবান হুলুদ সাংবাদিক(আসলে তিনি সাংবাদিক না,তিনি একজন সাংঘাতিক) শামিম খান ওরফে লাল মিয়া,
পিতাঃ জহির চোরা,গ্রামঃ কামারপাড়া(ঘড়িদারপাড়া),উপজেলাঃ ধামরাই,জেলাঃ ঢাকা- এর অব্যাহত নির্যাতন থেকে অসহায় এক হিন্দু জেলে পরিবারকে রক্ষা করতে যা কিছু করার দরকার হয়,আমি তাই করবো,ইনশাল্লাহ। ঠিক একইভাবে লড়াই করবো আমার ভাই সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদের খুনীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে। আমাকে আসলে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই,আমি কিন্তু এক সর্বহারা পাগল। আমার আসলে হারানোর কিছুই নেই। লতা নামের শ্যামলা রঙের এক মেয়েকে পাগলের মতো ভালোবাসতাম,সেই যেহেতু চলে গেছে দূরে,বহুদূরে..................।
 

Sunday, August 19, 2012

নিপীড়নের প্রতিবাদে ঈদের আনন্দ বর্জনের উপায় কি হতে পারে


নিপীড়নের প্রতিবাদে ঈদের আনন্দ বর্জনের উপায় কি হতে পারে

প্রাপক
(১)শামিম খান ওরফে লাল মিয়া সাংবাদিক (আসলে সাংবাদিক না,তিনি একজন সাংঘাতিক)
পিতাঃ মোঃ জহির খান
গ্রামঃ কামারপাড়া(ঘড়িদারপাড়া)
উপজেলাঃধামরাই
জেলাঃ ঢাকা

হাবিবুল্লাহ মিজান 
গণমাধ্যম কর্মী,ঢাকা
 পক্ষে
(১)নিমাই চন্দ্র রাজবংশী
(২)শচিন চন্দ্র রাজবংশী
(৩)সানা রানী রাজবংশী
(৪)রংমালা রানী রাজবংশী
(৫)ফুলমালা রানী রাজবংশী
(৬)শিল্পী রানী রাজবংশী
(৭)লিপি রানী রাজবংশী
(৮)স্বপন চন্দ্র রাজবংশী

সর্ব সাং- কাওয়ালীপাড়া,
উপজেলাঃ ধামরাই
জেলাঃ ঢাকা

আপনি কি আসলেই মুসলমান?

যদি নিজেকে মুসলমান বলেই দাবি করেন
তাহলে
আপনি নিশ্চয় একটি অসহায় হিন্দু জেলে পরিবারকে দিনের পর
দিন এভাবে পালিয়ে থাকতে বাধ্য করতে পারেন না।

আপনি যদি নিজেকে সাংবাদিক বলেই দাবি করেন
তাহলে
আপনি নিজের স্বার্থে আদালতকে ভুল বুঝিয়ে এবং পুলিশকে দিয়ে এই জেলে পরিবারের পিতা-মাতা,ভাই-বোনকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করাতে পারতেন না।
টেনে-হেঁচড়ে থানার হাজতে এবং কোর্টের গারদখানায় এভাবে ঢুকাতেও পারতেন না গর্ভে নয় মাসের সন্তান থাকা আমার হিন্দু বোনকে।

আমাদের পিঠ আজ দেয়ালে ঠেকে গেছে।
আর তাই

আসুন,আগামী কালের মুসলমানদের পবিত্র ঈদের আনন্দ আমরা সব ধর্মের বন্ধুরা মিলেমিশে উপভোগ করি।
কিন্তু সাংবাদিক নামদারী এই লাল মিয়ার সন্ত্রাসী লাল বাহিনীর নিপীড়ন থেকে কমপক্ষে এই হিন্দু জেলে পরিবারকে রক্ষা করি- এটাই হোক একজন সত্যিকারের  মুসলমান সাংবাদিকের ঈদ উপহার। এর চেয়ে ভালো কোন উপহার আছে বলে আমার  জানা নেই।

নিপীড়নের প্রতিবাদে ঈদের আনন্দ বর্জনের উপায় কি হতে পারে,সেটা নিয়েই ভাবছি । তবে আমরা কাউকে বাক্তিগতভাবে বিব্রত করতে চাই না। আমাকে যারা কিছুটা চেনেন,তাঁরা ভালো করেই জানেন যে,আমি কোন কিছু শেষ দেখা না পর্যন্ত কাপুরুষের মতো পালিয়ে যাই না। এটা আমার স্বভাবেই নেই। বাকিটা আল্লাহ্‌ ভরসা।

তবে
আমি এটাও জানি আমাদের জন্য সারা পৃথিবীর সব মানুষের ঈদ বা পূজার আনন্দ তো আর থেমে থাকবে না!

আর তাই
আমার সব প্রিয় বন্ধুদের জন্য আমার এক খুব কাছের ছোট ভাই,কবি,গীতিকার এবং সুরকার শিশিরের কাছ থেকে উপহার হিসাবে পাওয়া আমার স্বপ্নের সেই নদীগুলোকে বাঁচাতে লেখা নদীটির নাম গাজীখালী শীর্ষক গানের প্রথম ডেমো ভার্সন সবার উদ্দেশ্য উৎসর্গ করছি।
আশীর্বাদ চাইছি যেন আস্তে আস্তে একদিন নিজের জীবনটা বিলিয়ে দিতে পারি।

পরিশেষে সবার কাছ থেকে অনেক অনেক আশীর্বাদ ভিক্ষা করছি মেধাবি শিল্পী শিশিরের জন্য এবং শিশিরের খুব কাছের বড় ভাই,আরেক মেধাবী সংগীত পরিচালক রোকন ইমনের জন্যও।
লাল সালাম। আমি লড়ছি,লড়াই করে যাবো,ইনশাল্লাহ। ফেসবুকে আমার বন্ধু হতে চাইলে,এখানে ক্লিক করতে পারেন  


Saturday, August 11, 2012

আজ শহীদ সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ভাই এবং শহীদ সাংবাদিক মেহেরুন রুনি আপার নির্মম হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস এবং শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ হত্যার দুই বছর ছয় মাস। কিন্তু যে দেশে খুনিরা প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও শক্তিশালী হয়ে উঠে,সেই দেশে ............


আজ শহীদ সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ভাই এবং শহীদ সাংবাদিক মেহেরুন রুনি আপার নির্মম হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পেরিয়ে গেল। কাঁদতে কাঁদতে প্রায় আড়াই বছর চলে গেল সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ হত্যার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সব উচ্চমহলই খুনিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার কথা বলেছিলেন।

আমি আজ কথা বলেছিলাম শহীদ সাংবাদিক রুনি আপার ছোট ভাই রুমান এবং শহীদ সাংবাদিক সাগর সারও
য়ার ভাইয়ের ছোটবেলার এক বন্ধুর সাথে। রুমান আমাকে জিজ্ঞাস করলেন,খুনিদের খুঁজে বের করতে আসলেই কি কোন তদন্ত হচ্ছে। তাঁর এ প্রশ্নের উত্তর কি দিব,আমি বুঝতেই পারছি না।

প্রিয় মেঘের কথা জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম এই অবুঝ এতিম ছেলেটাও নাকি মাঝে মাঝেই তাঁর মামা রুমানকে জিজ্ঞাস করে,এটিনের মালিক মাহফুয তাঁর আব্বু-আম্মুকে নিয়ে কি খারাপ কথা বলেছিল। আমি রুমান ভাইকে সান্ত্বনা দিতে পারলাম না। আমি শুধু এই কথাটা বললাম যে,আমার এক ভাই সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদকেও খুন করা হয়েছিল সিলেটে ২০১০ সালের ২১ শে মার্চ। ভাই হত্যার বিচারতো পেতে ভিখারির মতো কত মানুষের কাছে (আসলে এরা কেউ মানুষ না,এরা অমানুষ। মানুষ হলে তো কেউ খুনিদের কাছ থেকে ঘুষ নিতে পারতো না,নিহত অধ্যাপক হারুনের নিষ্পাপ চরিত্রের উপর মিথ্যা অপবাদ দিতে পারতো না,খুনিদের বাঁচাতে অপচেষ্টা করতে পারতো না) ঘুরছি। বিনিময়ে কি পেয়েছি? শুধুই অপমান,হতাশা এবং বুকফাটা কান্না!

যে দেশে খুনিরা প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও শক্তিশালী হয়ে উঠে,সেই দেশে আর যাই হোক,শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ,শহীদ সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ভাই এবং শহীদ সাংবাদিক মেহেরুন রুনি হত্যার বিচার পেতে আর কতদিন কত মাস কত বছর লাগবে,একমাত্র মহান আল্লাহ্‌ই ভালো জানেন। 
তবে একটা কথা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি,অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ,শহীদ সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ভাই এবং শহীদ সাংবাদিক মেহেরুন রুনির খুনিদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাঁদের বিচার এই দুনিয়াতে না হলেও,মহান আল্লাহ্‌র দরবারে বিচার হবেই হবেই,ইনশাল্লাহ। কেউ কেউ পারবে না সে বিচার ঠেকাতে।

শহীদ সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ভাই এবং শহীদ সাংবাদিক মেহেরুন রুনি আপা এবং শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ ভাই,তোমরা ঘুমাও শান্তিতে,আমরা জেগে আছি তোমাদের হত্যার চরমতম বদলা নিতে। 





Saturday, August 4, 2012

আমি কেন দুর্নীতিবাজ হতে চাই !!!


আমি দুর্নীতিবাজ হতে চাই কেন - সেটা নিয়ে লেখা লিখছি। দয়া করে অপেক্ষা করেন, সবই জানতে পারবেন।

তবে এই লেখা যদি আমার শেষ লেখাও হয়, তাহলে বলছি- আমি না একসময় অনেক ভালো মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু কিছু কাপুরুষ দুর্নীতিবাজ, কিছু অন্ধকার জগতের লোক আমাকে আঘাত করছে। মিথ্যা মামলাও দিচ্ছে। আমার অপরাধ আমি আমার প্রতিবাদের ভাষাকে কারো কাছে ইজারা দিতে পারি নাই।

তাই এখন থেকে হিসাব আলাদা। দেখা যাক। আবার আগের ভালো লাইনে ফিরে আসবো কিছু খারাপ লোকদের শিক্ষা দিয়ে, ইনশাল্লাহ।

সব প্রিয় কমরেডদের হাবিবুল্লাহ মিজানের লাল সালাম প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ। পাশে থাকবেন।

Friday, August 3, 2012

পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই,ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র, এমনকি আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএকেও ভয় পাইনা। আর তাই কিছু কাপুরুষদের ভয় পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না


আমাকে দেখে কেউ,কেউ,কেউই আসলে বুঝতেই পারে না,মানুষের জন্য আমি আসলে কতটা বেশি ঝুঁকি নিতে পারি এবং সেটা হাঁসতে হাঁসতেই এবং নির্ভয়েই। সব কাপুরুষ লোকেরা মিলে আমাকে হত্যা করতে চেষ্টা করছে। হ্যাঁ,আমি বুঝতে পারি,আমি তাঁদের জন্য এক ভয়াবহ বাঁধা। সেই বাঁধাটাকে এই কাপুরুষগুলো হত্যা করতে চাইছে। যেমন হত্যা করেছে আমার ভাই সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদকে ইংরেজি ২০১০ সালের ২১ শে মার্চ। তাঁর অপরাধ ছিল বখাটেপনায় বাঁধা দেয়া ! অথচ তাঁকে এবং তাঁর অসহায় পরিবারকে এখনো বারবার হত্যা করা হচ্ছে তাঁর নিষ্পাপ চরিত্রের উপর মিথ্যা কলঙ্ক দিয়ে। সিলেটে চলছে বিচারের নামে এক ভয়াবহ প্রহসন। কিন্তু আমি গভিরভাবে বিশ্বাস করি,আমাকে এক কুপে কিংবা মাত্র কয়েকটা গুলিতেই খুন করা যাবে না,যাবে না। তাছাড়া আমি আমার প্যান্টের পকেটে একটা অতিরিক্ত প্রাণ নিয়েই চলাফেরা করি। কাপুরুষেরা যদি আমাকে একবার খুন করে ফেলতেই পারে,আমি তৎক্ষণাৎ আমার প্যান্টের পকেটে রাখা কিংবা কখনো আমার ডান কোমরে রাখা অতিরিক্ত প্রাণটা আমার রক্তাক্ত দেহে লাগিয়ে এই কাপুরুষদের সাথে লড়াই করে যাবো। কিন্তু সেই অতিরিক্ত প্রাণটাও যদি মরে যায়,তখন কি করবো,তাই না? আমি কি কাপুরুষদের কাছেই শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণই করবো? আগামী দিনেই সেটা দেখা যাবে,বোঝা যাবে। কিন্তু এই মুহূর্তে শুধু এই কথাটা বলতে পারি,আমি কিন্তু পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই,ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র, এমনকি আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএকেও ভয় পাইনা। আর তাই কিছু কাপুরুষদের ভয় পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। কথাটা একদম ঠাণ্ডা মাথায়,সজ্ঞানে আমার সব ছোট-বড়- মাঝারি,খুচরা- পাইকারি,দেশি-বিদেশি,প্রকাশ্য-গোপনীয় সব শত্রুদের উদ্দেশেই লিখছি- হাবিবুল্লাহ মিজান নামের এই অতি বোকা,খুবই লিকলিকে শরীরের ছেলেটা একমাত্র তাঁর আল্লাহ্‌কেই ভয় পায়। আর কাউকেই না,কাউকেই না।

আসুন পবিত্র রোজার মাসে,বাঙালীর শোঁকের মাসে আমরা সব ধর্মের মানুষের উপর হত্যা, ধর্ষণ,নিপীড়ন নির্যাতন রুখে দাঁড়ানোর শপথ নেয়,নতুন করে এবং আজ থেকেই,এখন থেকেই। যে যেভাবে পারি। আমার প্রিয় কমরেডদেরকে লাল সালাম। নিরাপদে থাকুন,ভালো থাকুন। বিজয় আমাদেরই,ইনশাল্লাহ।

Saturday, July 28, 2012

এক সময়ের প্রিয় বিবিসি বাংলা না বুঝলে,আসুন,আমরা বাংলা মায়ের দামাল ছেলে-মেয়েরা বিবিসিকে আবার বুঝিয়ে দেয় এটা সাদা চামড়ার ব্রিটিশ সাম্রাজ্য না। এটা হৃদয়ে লেখা লাল-সবুজের বাংলাদেশ,প্রিয় জন্মভূমি............।

‎{বাংলাদেশের সদ্য প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন সোশ্যাল মিডিয়ায় নাকি তীব্রভাবে সমালোচিত হচ্ছেন লাশ দাফন বিতর্কে তাঁর কথিত ভূমিকার জন্য,(সূত্রঃ বিবিসি বাংলা,সর্বশেষ আপডেট বুধবার, 25 জুলাই,2012 16:00 GMT 22:00 বাংলাদেশ সময়)}আর তাতেই সাম্রাজ্যবাদীদের টাকাই চলা বিবিসি বাংলা চরম একতরফা এক প্রতিবেদন প্রচার করে পবিত্র পা ধরে ছালাম করার মতো আমাদের অনেক ভালো মা-বোনদের মধ্যেও (সদ্য প্রয়াত মেধাবী লেখক হুমায়ূন আহমেদের মেয়ে শিলার বান্ধবী থেকে হঠাৎ করেই তাঁরই বাবার দুই নাম্বার(!!!!) স্ত্রী বনে যাওয়া মেহের আফরোজ শাওনদের মতো না) ফালতো পুরুষ বিদ্বেষ উসকে দিচ্ছে বলে মনে হয়। তাই সাদা চামড়ার বিবিসি বাংলাকে বলছি- দেখেন মিস্টার,এটা কিন্তু মীরজাফরদের সেই ১৭৫৭ সাল না। পলাশীর সাময়িক পরাজয়ের পরে আমাদের স্বাধীনতার দেওয়ার নামে আপনারা চুতুর ব্রিটিশররা ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছেন আমাদের বাপ-দাদার সেই এক বিশাল বড় মহাদেশ ভারতকে। কি করলেন আপনার? মুসলমানদের পাকিস্তান,হিন্দুদের ভারত,তাই না, মিস্টার? তারপররেও এই বাংলা মায়ের বীর ছেলে-মেয়েদের রক্তে লেখা হয়েছে অগ্নিজরা আমাদের সেই পবিত্র ১৯৫২,১৯৬২,১৯৬৯ এবং মহান ১৯৭১।তাঁরা ছিনিয়ে এনেছেন বিজয়ের ১৯৯০। বাংলার মানুষ এখন অনেক সচেতন। কমপক্ষে বাংলার মানুষ এখন বিবিসির চেয়ে অনেক চালাক হয়েছেন। আর এটা আমার এক সময়ের প্রিয় বিবিসি বাংলা না বুঝলে,আসুন,আমরা বাংলা মায়ের দামাল ছেলে-মেয়েরা বিবিসিকে আবার বুঝিয়ে দেয় এটা সাদা চামড়ার ব্রিটিশ সাম্রাজ্য না। এটা হৃদয়ে লেখা লাল-সবুজের বাংলাদেশ,প্রিয় জন্মভূমি............। সব দালালেরা নিপাত যাক। মেহনতি মানুষের পক্ষে সব কমরেডের হাবিবুল্লা মিজানের লাল সালাম। শহীদ অধ্যাপক হারুন,শহীদ সাংবাদিক সাগর এবং শহীদ সাংবাদিক রুনিসহ সকল হত্যা,জুলুমের বিচারের জন্য আমি লড়ে যাব,শেষ পর্যন্ত,ইনশাল্লাহ। ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে শহীদ মোহনলাল আমাকে এটাই শিখিয়েছেন।

Thursday, July 19, 2012

শহীদ প্রফেসর হারুনের খুনিরা এবং তাঁদের আশ্রয়দাতারা প্রধান মন্ত্রীর চেয়েও বেশি শক্তিশালী!

হ্যালো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!!! হ্যালো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!!!হ্যালো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!!!


শহীদ অধ্যাপক হারুনের পরিবারের,বিশেষ করে তাঁর বিধবা স্ত্রী এবং তাঁর দুই এতিম সন্তানদের কান্না কি কোনদিনই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কানে পৌঁছবে না? তাহলে কি শহীদ প্রফেসর হারুনের খুনিরা এবং তাঁদের আশ্রয়দাতারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশি শক্তিশালী? আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উত্তরের অপেক্ষায় আছি। কারন আমরা গতকাল বিকেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুঠো ফোনে বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছি। ইনশাল্লাহ,শেষ পর্যন্ত আমরা লড়াই করে যাবো। সবার আশীর্বাদ ভিক্ষা চাইছি। পরিবারের পক্ষে- হাবিবুল্লাহ মিজান। (শহীদ প্রফেসর হারুনের ভাই, এবং গণমাধ্যম কর্মী,ঢাকা,বাংলাদেশ।

Tuesday, July 17, 2012

গণভবন না কড়া ভবন!!!


গণভবন না কড়া ভবন!!!

নামটা শুনলে মনে হয় যেন এমন একটি ভবন যেখানে যখন তখন যে কোন মানুষ,মানে গন-মানুষ যেতে পারেন। কিন্তু না। যেখানে যেতে হলে আপনাকে কিছু বিরক্তিকর ঝামেলা পোহাতেই হবে যদি না আপনি হন ভিভিআইপিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিশেষ বাহিনীর সদস্য। আমরা যারা সাংবাদিকতা করি তাঁদের বাধ্য হয়েই সেখানে যেতে হয়,বিশেষ করে পরাধীন এবং গোলামীর চাকরিটা বাঁচাতে। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সেখানে গেলাম। দেখলাম আমার সহকর্মী সিনিয়র সাংবাদিক শামিম ভাই বসে আছেন। আমি তাঁর সাথে সাংবাদিকতার বাইরের কিছু  বিষয় নিয়ে যেমন আমার রোগ-শোঁক নিয়ে কিছু পরামর্শ নিচ্ছিলাম। এরপর দেখলাম আসলেন কানাই দা। সেখানে দেখা হয়ে গেল ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ে আমার প্রিয় দুই ছোট ভাই বাদশা এবং নাজমুলের সাথে। বাদশার মাথায় আদর করে হাত বুলিয়ে দিলাম। অনেকে আমার কাছে বলেছে যে বেচারার নাকি মন-মানসিকতা অনেক ছাত্রলীগ নেতার চেয়ে  অনেক অনেক গুণ ভাল। কিন্তু বয়সের ফাঁদে পড়ে তাঁর প্রাপ্য পদটাও পেল না। নাজমুলকে জিজ্ঞাস করলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকে ছাত্রলীগ নেতা খুনের পর কি অ্যাকশন নিচ্ছে। শিবির নিয়েও কিছু কথা হল। এরমধ্যে অনেক সাংবাদিক সহকর্মীরা এসে পড়লো। সময় এগিয়ে আসছে বলে আমরা নিরাপত্তা পাস নিয়ে ঢুকতে গেলাম। পরপর দুইটি আর্চওয়ে পার করে,মানে নিরাপতা চেকিং করার শেষ পর্যায়ে আমার হাতে থাকা মিনি অডিও রেকর্ডার নিয়ে বার বার পরীক্ষা করছিলো পুলিশের বিশেষ শাখার এক সদস্য। আমি খুব বিরক্ত হচ্ছিলাম। ভাবছিলাম এ কেমন গোয়েন্দা সদস্য যে সাংবাদিকদের মিনি রেকর্ডার চিনতে পারে না। আমার খুব হাসিও পাচ্ছিলো। কারন আমার এই মিনি অডিও রেকর্ডার নিয়ে তাঁকে খুব চিন্তিত দেখাচ্ছিল। হয়তো তাঁর আবার ভয়ও হচ্ছিলো যে বেটা সাংবাদিক,কি না কি লেখে দেয় যদি সাংবাদিকদের সাথে বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলে। আমি তাঁর সাথে হেসে হেসে কথা বলতে থাকায় সে পরে আমাকে বলে ফেললো - প্লীজ,আমাকে এটা একটো  অন-অফ করে দেখাবেন? আমি দেখালাম। পরে আমার সে একই নিরাপত্তা চেকিং। দামি আর্চওয়ের সাথে বাড়তি যোগ হচ্ছে কালো পোশাকদারী র‍্যাব এবং তাঁদের অতিদামি বিদেশী ড্রগ স্কোয়াড। সেখান থেকে পায়ে হেটে হেটে গণভবনের মুল গেটে এসে আবার সে নিরাপত্তা চেকিং। 


যাক,এভাবেই চলে আসলাম সেই রুমে। আমি কিছু পাপীদেরও দেখলাম। দেখলাম কিছু হাইব্রিড নেতাদের। অনেকে এমনকি আমার অনেক সাংবাদিক সহকর্মীরাও  কেন যেন  এই সব নেতা-পাতি নেতারা পাশ দিয়ে গেলেই উঠে দাড়িয়ে সম্মান জানালেন। আমার আবার এই সব অভ্যাস কম। তাই যখন একমাত্র আপা আসলেন তখনই আমি অন্যান্যদের সাথে দাড়িয়ে সম্মান জানালাম। কিছু কষ্টও পেলাম কিছু কারনে। চা চেয়ে না পেয়ে আরেকটো বাড়তি অভিমান নিয়ে চলে আসলাম। অফিসে আসার আগে গাজী তরুণ ভাইয়ের অফিসে আমার এক ছোট ভাই সূফী সম্রাট খ্যাত কণ্ঠ শিল্পী পারভেজের সাথে একটা আলাপে অংশ নিয়ে আলাপের ফাকে ফাকে কম্পিউটারে বসে খবর লিখে পাঠালাম অফিসে। কোন নোট না দেখে এবং ভয়েস রেকর্ডা না শুনেই। মোটামুটি যা মনে ছিল তাই লিখলাম।

জানিনা কালকে চাকরীটা থাকবে কি না। দেখা যাক।কথায় আছে না, বাঁচায় আল্লাহ্‌, মারে কে, তাই না।      

Monday, July 16, 2012

এক দফা,এক দাবি,বুয়েটের মিথ্যাবাদী ভিসি-প্রো-ভিসি তোরা কবে যাবি???

এক দফা,এক দাবি,বুয়েটের মিথ্যাবাদী ভিসি-প্রো-ভিসি তোরা কবে যাবি???
এক দফা,এক দাবি,বুয়েটের মিথ্যাবাদী ভিসি,প্রো-ভিসি তোরা কবে যাবি???
এক দফা,এক দাবি বুয়েটের মিথ্যাবাদী ভিসি,প্রো-ভিসি তোরা কবে যাবি???

কারন তোরা তো শিক্ষক না,শিক্ষক নামদারী ভণ্ড শিক্ষিত শয়তান। তোরা শুধু নিজেদের স্বার্থেই হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছিস। তোরাই তো নব্য খন্দকার মোশতাক। কারন তোরা নিজেদের পিঠের চামড়া বাঁচাতে এবং ক্ষমতার মজা লুটতে সত্যিকারের অনেক বঙ্গবন্ধু প্রেমিকদের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যাচ্ছিস। আরে শয়তান বেটারা, শুন,শুন,আন্দোলনকারী শিক্ষক- শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীদের তোরা যতবারই জঙ্গি বলবি,আমরা দেশের সাধারণ জনগন তাদেরকে আমাদের প্রানপ্রিয় কমরেড বলবো। তোরা আন্দোলনকারীদের যতবারই মিথ্যা অপবাদ দিবি,আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষক- শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীদেরকে আমরা ততবারই প্রিয় বীর বাঙালী বলবো,এবার বুঝলিতো??? তাহলে এখন থেকে শুরু করা যাক,কি বলেন বন্ধুরা?

আসুন,সবাই বলি- বাঁচাও বুয়েট,বাঁচাও দেশ,বাঁচাও সারা বাংলাদেশ।

Thursday, April 19, 2012

দূর থেকে দেখা ভালো পুলিশের একটা ভালো নায়ককে একজন সাংবাদিকের চিঠি না, চিঠিটা একজন ভাল সাংঘাতিকের লেখা চিঠি। তাকে লিখেও কেন যেন আবার ফিরেয়ে নিলো সেই এক সৌখিন শিক্ষানবিশ সাংবাদিক। এক হাবিবুল্লাহ মিজানের গল্প এখানেই শুরু!

অগ্রিম দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী আমার কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক শব্দমালায় যদি কেউ বিন্দু মাত্র আঘাতও পেয়ে থাকেনআসলে আমার ভাই শহীদ প্রফেসর হারুন কিছু বর্বর সিলেটীদের হাতে একবার না,দু, দু'বার করে খুন হওয়ার পর আসলে আমার অসহায় পরিবার সিলেট বা সিলেটী নামটা শুনলেই তাদের ইচ্ছে হয় আজই এবং এখনই ...............তখন সিলেটী অনেক অনেক ভালো মরমী গানও আমাদের কাছে একদম ভোতা হয়ে যায়তবে আপনার কথায় (নাকি কবিতায়, জানি না ) অন্যভাবে আমার হারানো সেই কাজল -কালো লতা,লতা,লতার কথা একটু বেশিই মনে পড়ে গেলযাক,আমার নিজের জীবনের কিছু ভুলের কথা,কিছু পাপের কথা আপনাকে জানাবোই,ইনশাল্লাহ,যদি আপনার সাথে কোনদিন দেখা হয়,তবে সাংঘাতিক (আমি ইদানিং নিজেকে আর সাংবাদিক দাবি করি না) হিসাবে না আপনি ভালো পুলিশ প্রধান, আর আমি খারাপ পাপী হিসাবেতখন হয়তো বঝবেন কিভাবে একটি ভালো জীবন,কেন একটি ভালো স্বপ্ন নষ্টও হয়ে যায় তিলে, তিলেআমি প্রতিদিন প্রতিক্ষণ দোয়া করি,আপনি আগামী দিনের খুব ভালো পুলিশের নায়ক হোনআপনি আমার চেয়েও অনেক অনেক ভালো করে জানেন যে,খারাপ পুলিশের প্রধান হওয়া যায়, কিছুটা সহজেইকিন্তু ভালো পুলিশের নায়ক অনেক কঠিন বটেই। আমিও জানি ভালো সাংবাদিকের নায়ক কেউ কাউকে বানাতে পারে নাএগুলো নিজে নিজে কঠিন সংগ্রাম করেই হতে হয়তখন আমার মত আর কাউকেই ভাই হত্যার বিচার পেতে এত এত খারাপ ক্ষমতার রাজনীতি করা লাগবে নাআমি পাপী সেদিন নিজেই নিজের হাতে কড়া বেধে আদালতে না, কোন ভালো পুলিশ প্রধানের কাছেই যাবভাবুন তো,সেই নতুন শান্তির দিনে  কথা, আমি আপনার কাছে গিয়েই আত্মসমর্পণ করছিআমি আমারই ক্রস-ফায়ার চাইছিসেই দিন আমি নিজে নিজেরই ক্রস-ফায়ার নিজেই দাবি করবো, আসলেইকারন আমিও তো কিছু পাপ করেছি, তাই না? হোক না সেটা আমার হারানো লতাকে ভুলতেকেউ জানুক বা নাই জানুক, মিজানের বিবেক তো জানেই আমি মিজানও অনেক পাপী নিজেকে মহৎ হিসাবে জাহির করার জন্য না, একদমই না,আমি আন্তরিকভাবেই একদিন আসবো, আপনার কাছে,আপনার পবিত্র পায়ে একবার হাত দিতে কারন আপনি একদিন আমাকে দূর থেকেই আমার একটা ভালো,সুন্দর এবং পবিত্র সংগ্রামে অনেক অনেক অবদান রেখেছেনআর দেশে কি আলামত দেখছি? তাতে তো ভয় হচ্ছে! ভালো থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন, সতর্কভাবে থাকবেনআর পারলে এই পাপীটার জন্য একটু আশীর্বাদ করবেনআমি মনে হয় সাংবাদিকতা ছেড়ে কিছুদিনের জন্য আমার পড়ালেখার টেবিলে ফিরে যাচ্ছিকারন চাঁদাবাজি করতে মিজানের সাংবাদিকের কার্ড লাগে নামিজান সাংবাদিকতার আসলে ভালো পেশাকে জনগনের কাছে সবচেয়ে খারাপ পেশা বানাতে চায় না,আসলেই না, কোনভাবেই না

Wednesday, April 18, 2012

ইনশাল্লাহ । আর তাই আমি আমার কর্মীদের আমি অভয় দিয়ে একটা কথা প্রায়ই বলে থাকি, সেটা হল আমি নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে লড়তে যাওয়ার আগেই আমাকে হয়তো কমপক্ষে চার-পাঁচটি হত্যা মামলার আসামি হতে হবে।

আমি গত কয়েক মাস ধরেই আমার শরীরটা ভীষণ খারাপ যাচ্ছে। কিন্তু আমার জীবনের প্রতি আমার নিজের এক ধরনের নির্মম অভিমানের কারনেই আমি আমার শরীরের একটু যত্ন ইচ্ছা করেই নেয় নি। অফিসে শারীরিক কারন দেখিয়ে আমি গত প্রায় দুই মাস ধরে সাংবাদিকতা থেকেও স্বেচ্ছানির্বাসনে রয়েছি। এত কিছুর পরেও আমার অনেকগুলো খুবই খারাপ স্বভাব এখনো আছে, তার একটা হল আমি গায়ে পড়ে অনেক বড় বড় প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলি। তাঁরা অনেক অনেক ক্ষমতাশালী। কেউ কেউ নাকি আমাকে মেরেও ফেলতে চাইছে। তাঁদের কথা মনে পড়লে আমার আসলেই খুবই হাসি পায়, আবার তাঁদের জন্য মায়াও লাগে। আরে বেটা কাপুরুষরা,তোরা কি আমার মহান আল্লাহ্‌র চেয়েও বেশি শক্তিশালী? যদি না হয়,তাহলে আমি তোদেরকে ভয়ের কোন কারনই নেই। আর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবি? আরে বেটা রাম ছাগল,যদি আমার পরিবার আমার ভাই শহীদ প্রফেসর হারুন হত্যার বিচার না পায়,তাহলে আমি নিশ্চিতভাবেই আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন গরীব প্রার্থী হিসাবে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবই, যাব, ইনশাল্লাহ । আর তাই আমি আমার কর্মীদের আমি অভয় দিয়ে একটা কথা প্রায়ই বলে থাকি, সেটা হল আমি নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে লড়তে যাওয়ার আগেই আমাকে হয়তো কমপক্ষে চার-পাঁচটি হত্যা মামলার আসামি হতে হবে। আরে মিয়া সাহেব,ক্ষমতার পচা রাজনীতি যদি মিজানকে করতেই হয়,তাহলে কিন্তু আমি কাউকেই এক পয়সার করও দিতে যাব না। অন্যরা (সব অসৎ লোকরা) আমাকেই যিযিয়া কর দিবে,ইনশাল্লাহ। তবে আমি আবারো বলছি, আন্তরিকভাবেই বলছি,আমি রাজনীতির সেই বাকা পথে আর হাটতে চাই না,একদমই না। আমি চাই আমার চারপাশের সব নিপীড়ন-নির্যাতন বন্ধ হয়ে যাক। আমিও সাংবাদিকতা পেশায় থেকেই যতটুক পারি নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকতে চাই। দেখা যাক, সময় কি বলে,আমার কাছে কোনটা বেশি শক্তিশালী হয়,অসি না মসি। আজকে আমার এ লেখাটা তাঁদের জন্য লেখা, যারা আমার বন্ধুবেশে আছে ঠিকই কিন্তু তাঁরা আসলে আমার ভয়ংকরতম শক্রু। সবাই বলেন যে,শক্রুদের নাকি বেশি খাটো করে দেখতে নেই। তবে ঐ কাপুরুষদেরকে আমি খুব বড় করে দেখতেও শিখেনি। তাই নিরাপদ জীবন চাইনি, বুঝে শুনেই জীবনকে আমি দিন দিন অনিরাপদ অতীতেও করেছি, এখনো করছি এবং আগামী দিনগুলোতেও করব। ঝুকি নেয়া আসলেই আমার খুব খুব পছন্দ। তাই আমি আজও স্বপ্ন দেখি একটি শান্তিপূর্ণ সাহসী বিপ্লবের এবং সেটা আমার দেহের রক্তের বিনিময়ে হলেও। আমি আগেই বলেছি,আমি নাস্তিক না,আমি বিশ্বাসে আস্তিকই। তাই শক্তি ও সাহস ভিক্ষা চাইছি একমাত্র আমার মহান আল্লাহ্‌র,একমাত্র মহান আল্লাহ্‌র, আবারো বলছি একমাত্র মহান আল্লাহ্‌র কাছেই।

হাবিবুল্লাহ মিজান
রাজনীতিক ও গন-মাধ্যম কর্মী
১৮-০৪-২০১২, ঢাকা, বাংলাদেশ।
এক বেয়াদব ইঞ্জিনিয়ার বেটাকে দিলাম এক কড়া ধমক

Wednesday, April 11, 2012

আমি হাবিবুল্লাহ মিজান, বাংলাদেশ থেকে বলছি,হাবিবুল্লাহ মিজান লড়াই করে, দালালী করে না

Thank you very much. সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই অনুষ্ঠানটা ‘মোটামুটি’ (সম্পূর্ণ না) সুন্দর ভাবে শেষ করার জন্য। কারন এর আগে এখানে অনেক অনুষ্ঠান হয়েছে, কোন অনুষ্ঠানেই কোন সমস্যা হয়নি। আর এই জন্য আজকে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ বললাম। Ok,fine. আরো বিশ মিনিট নাচ চলবে, নাচবে প্রিন্সেস লাকি, প্রিন্সেস রানী এবং প্রিন্সেস সাথী। বন্ধুরা, নাচ শুরুর আগে আমি কেন এখানে আপনাদের নিয়ে এসেছি সে বিষয়ে ঠিক দু'টা কথা বলব। ফাইভ মিনিট, ফাইভ মিনিট, ফাইভ মিনিট,ঠিক পাঁচ মিনিট। প্রথমেই শুনতে হবে আমি কি বলি। আমি খারাপ বললেও বলতে হবে যে- ভাই আপনি খারাপ বলেছেন। আর ভালো বললেও হাততালি দেওয়ার দরকার নেই। মাথাই রাখবেন, কানে শুনবেন,OK? এই গ্রামের নাম বাছট, মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার খুবই দরিদ্র একটা গ্রাম। আমার নাম হাবিবুল্লাহ মিজান। এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ে একটু একটু পড়ি। একসময় ছাত্র রাজনীতি করতাম। এখন একটু একটু সাংবাদিকতা করি। আমার একটা ভাই,পাশাপাশি ঘর, তাঁর নাম শহীদ অধ্যাপক হারুন- অর- রশিদ। আপনারা এ মঞ্চের পাশে দাড়িয়ে অনেক হাশি-উল্লাস করছেন, অনেক কিছুই করছেন। আমার ঘনিষ্ঠ লোকজন আমাকে জিজ্ঞাস করেছে, আমার মনটা আজ খারাপ কি না। হ্যাঁ, আমার মনটা কিছুটা হলেও খারাপ। ঠিক এই মঞ্চেইর পাশেই যে যায়গাটা সেখানে আমার ভাইকে শেষবারের মত জানাজা পড়ানো হয়েছিল । সেদিন আমি সেখানে কিছু কথাও বলেছিলাম। আমি বলেছিলাম, আমি খুবই দুর্বল একজন মানুষ। আমার কোন ক্ষমতা নেই, কোন সামর্থ্য নেই, কারো সাথেই কোন পরিচয়ও নেই। লিকলিকে একটা শরীর। যারা সাংবাদিকতা করেন, তারা আমাকে মোটামুটি এই বলে চেনেন যে, আমি নাকি খুব গাউরা সাংবাদিক। সাংবাদিকতার সুবাদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দুঃখী কন্যা, আমি আওয়ামী লীগ করিনা, আমি বিএনপিও করিনা। But I respect Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, Father of the Nation. তাঁর মেয়ের বাসায় সাংবাদিক হিসাবে দু'একদিন যাই। সেখানে সবাই দালালী করেন, অনেকে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক। আমি ছেরা স্যান্ডেল পড়ি, ধার-দেনা করে চলি। প্রধানমন্ত্রীর বাসায় যারা যাঙ,তাঁরা অনেকে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক। আমি কিন্তু খুবই গরীব। আমার কোন সামর্থ্য নেই। এই যে আজকের অনুষ্ঠান সেটা আমার কিছু বড় ভাই, বন্ধুবান্দব আমাকে সাহায্য করেছেন বলে সম্ভব হয়েছে। তাঁরা আমাকে দোয়া করেছেন বলে আমি এটা করতে পেরেছি। কোন problem নাই। যে কারনে আজকে আপনাদের এখানে ডাকা। আমার একজন ভাই, প্রফেসর হারুন- অর- রশিদ, যাকে ২০১০ সালের ২১ শে মার্চ বর্বর সিলেটের কিছু বর্বর, পাষাণ জানোয়াররা নির্মমভাবে হত্যা করেছে প্রকাশ্য দিবালোকে। আমি সিলেটবাসীকে আপনাদের মাধ্যমে স্পষ্টকরে বলে দিতে চাই, সিলেটের মানুষকে আমি সম্মান করি, respect করি। But I want take a revenge against the BLOODY KILLERS who had killed my brother. এই ক্ষেত্রে আমি আইনের প্রতি বিশ্বাস করি। আমি চাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হতভাগী কন্যা তাঁর সরকারের এই দুই বছরের মধ্যে এই হত্যার বিচার করবে। তিনি জানেন পিতাহারা, মাতাহারা মানুষের কি দুঃখ, কি বেদনা। আমি,আপনি কি জানি?
আমি বিশ্বাস করি, এই সরকার আগামী দু'বছরের মধ্যে শহীদ প্রফেসর হারুন হত্যার বিচার হবে, হবে,হবে। আর যদি বিচার না হয়,তাহলে যে মঞ্চে দাড়িয়ে আমি আমার ভাইকে শেষ জানাজা দিয়েছিলাম আজ সেইখানে দাড়িয়ে বলছি, থাকতে পারে এখানে পুলিশের লোক, গোয়েন্দা সংস্থার লোক, ডিজিএফআইয়ের লোক। But I don’t care, my name is Mizan. আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আগামি দুই বছরের মধ্যে যদি শহীদ প্রফেসর হারুন হত্যার বিচার না হয়, তাহলে আমি এই বাছট গ্রাম থেকে যে প্রতিশোধের আগুন ছুড়িয়ে দিবো তাতে সিলেটের ঐ খুনিদেরকে। সে যেই হোক। আপনারা আমার পাশে থাকবেন?
শেষ যে কথাটা, যে কারনে, বিশেষ করে আপনারা,মঞ্চের পিছনের দিকে ব্যানারে লেখা রয়েছে- বাঁচাও নদী, বাঁচাও দেশ, বাঁচাও সারা বাংলাদেশ। আপনাদের পাশে এসময় কুলকুলকরে বয়ে গেছে গাজীখালী নদী। বিভিন্ন কারনে সে নদীটি মরে গেছে। নদীটি আজ আর নদী নেই। বছরে মাত্র এক মাস সেখানে পানি থাকে। বাকি সারা বছর পানি থাকেই না। অথচ আপনাদের বাপ-দাদাকে জিজ্ঞাস করেন, সেখানে একসময় পাল তোলা নৌকা যেত, লঞ্চ, ষ্টীমার চলত। অনেক কিছুই চলত, সেটা আমিও দেখেছি। আপনারা সবাই থাকলে আমরা আবার সেই নদীটিকে বাঁচাতে পারব। জানি, হয়তো আগের মত সেই নদীকে ফিরে পাব না। কিন্তু বছরে অন্তত নয় মাস, আট মাস, সাত মাস যাতে পানি থাকে সেটা করা যাবে। আমি চাই আপনারা আমার ভাই হত্যার বিচারে আমার পাশো থাকবেন এবং আপনাকে বাঁচাতে, আপনার বন্ধুদেরকে বাঁচাতে এই নদীটিকে বাঁচাতে হবে। আমি চাই, আপনার ভবিষ্যৎ বংশধরদের বাঁচাতে এই নদী বাঁচাও আন্দোলনের পাশে থাকবেন। আমার সাথে অনেকের সাথে যারা এই নদীটিকে ধ্বংসের পিছনে কিছুটা হলেও দায়ী তাঁদের অনেকের সাথে আমার ব্যাক্তিগত ভালো সম্পর্ক থাকতে পারে। হতে পারে কেউ কেউ আমার আত্মীয়। তবে আমি আমার বিবেককে সাক্ষী রেখে বলতে চাই- আমি নদীটিকে বাঁচাতে চাই। I don’t want to make any compromise with you. আমি বারবার বলছি, আমি আমার ভাই শহীদ প্রফেসর হারুন হত্যার বিচার চাই, যে করেই হোক। আমি নদীটিকে বাঁচাতে চাই। পরিশেষে,আমি আমার ভাই শহীদ প্রফেসর হারুন-অর-রশিদের বিদেহী আত্মার প্রতি আমার সর্বোচ সম্মান এবং তাঁর এতিম ছেলে আরহাম, এতিম মেয়ে লুব্ধক এবং তাঁর বিধব স্ত্রী আফরোজা ভাবী, তাঁদের নিরাপদ, সুন্দর এবং disturb-less জীবন কামনা করি। আমি সবাইকে সাক্ষী রেখে বলছি- I want to dedidate my life for you. আমার বক্তব্যের পরেই রাত বারোটা পর্যন্ত নাচ চলবে,নাচবে আরো বিশ মিনিট। নাচ চলবে। নাচবে প্রিন্সেস লাকি, প্রিন্সেস রানী এবং প্রিন্সেস সাথী, যাকে আমি খুব পছন্দ করি। আমি বলে দিয়েছিলাম She must come. প্রিন্সেস সাথী এসেছে। এরপর গান গাইবে শিশির,সে রেডিও-টেলিভিশনে গান গায়। সে আমার নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাথে প্রথম থেকেই আমার সাথে আছে। সে এই গাজীখালী নদীকে বাঁচাতে একটি গান লিখেছে।এই গানটি সে তাঁর নিজের টাকাইয় কম্পোজ করবে প্রায় এক লক্ষ টাকা খরচ করে। সে যে আজ এখানে এসেছে গান গাইতে এর জন্য তাঁকে কোন টাকা দিতে হবে না। বরং সেই আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। তাছাড়া আমাকে আরও অনেকে সাহায্য করেছে, বিশেষ করে চঞ্চল ভাই, দূর থেকে, চঞ্চল ভাই আপনাকে লাল সালাম। আমি আমার কথার দ্বারা কিংবা আমার কোন আচরণের কারনে যদি কেউ কোন কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি ক্ষমা প্রার্থী, I beg your pardon. OK, আপনারা অনুষ্ঠান উপভোগ করুন। তাহলে আজ রাতে এখানেই আপনাদের কাছ থেকে বিদায়। Thank you very much. আবার দেখা হবে কোন এক দিন। OK, good luck.

Sunday, March 11, 2012

আমাদের প্রিয় গাজীখালী নদীকে বাঁচাতে

আমাদের প্রিয় গাজীখালী নদীকে বাঁচাতে এই নতুন গানটাই আগামী ২৬’শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রথম বারের মতো গাইবে আমারই প্রিয় ছোট ভাই, উদীয়মান সংগীত শিল্পী, কবি, গীতিকার, আরও কত গুণের অধিকারী,খুবই মিষ্টি মুখের শিশির। সে টেলিভিশন ও রেডিওতে গান গাই। কিন্ত সেই দিন সে গাইবে যে প্রিয় গাজীখালী নদী বয়ে চলেছিল ঠিক আমাদের নিজেদের বাড়ির নিজের ঘরের একদম পাশ গেশেই, সেই প্রিয় গাজীখালী নদীকে বাঁচাতে। আমাদের কত গল্পই না মিশে আছে এই প্রিয় গাজী খালীর নদীর বাকে বাকে। কখনো আবার ঢেউয়ের সাথে। আমি এটাকে বাঁচাতে চাই। আমার জীবন দিতেও রাজি। তাই বন্ধুরা, মারা গেলে বুঝে নিবেন, আমার এলাকার কিছু নদী খেকোদের সাথে আমি সাময়িক ভাব জমিয়েছি অন্য সব নদী খেকোদের ধরতে, কালো হাত ভেঙ্গে দিতে। কসম আল্লাহ্র! এটা সাময়িক আমার এলাকাগত কিছু রাজনীতিক কারনে। আসলে আর কিছু না। আর আরোপিত কর? সেটাতো নদী খেকোদেরই দাঁত চিরতরে ভেঙ্গে দেয়ার কাজেই প্রথম খরচ করা হবে, কথা দিলাম। ইনশাল্লাহ,দেখা হবে আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে আমাদের গেঁয়ো আয়োজনে। সে দিন সবার সব প্রশ্নেরই উত্তর আমি দিবো। ‘প্রিয় কমরেড’,সবাইকে নিমন্ত্রণ।।।

গানের নাম-আমাদের প্রিয় গাজীখালী নদীকে বাঁচাতে
১১-০৩-২০১২
(মাতার রূপে নদী খানি
নদীটির নাম গাজী খালি
ধ্বংসের কালো হাতে ছেয়ে গেছে দেখো
অন্য নদীর মতোই।
মাতার রূপে নদী খানি
নদীটির নাম গাজীখালী
যে নদীর বুকে চলে উজান-ভাটি
সেই নদীই আজ করে কান্না-কাটি
এখনই সময় আসুন আপন নদী বাঁচাই
নদী বাঁচলেই বাঁচবে দেশ
বাঁচবো সবাই।
মাতার রূপে নদী খানি
নদীটির নাম গাজীখালী )
সবাইকে সংগ্রামী লাল সালাম।